ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে ঢাকা মুখি লেনে তীব্র যানজট। প্রতিদিন বিকেল থেকে এ যানজটে রাজধানীগামী যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ে ধীরগতি যানজটের কারন বলে জানিয়েছেন দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকামুখি লেনে সন্ধ্যর পর থেকে রাত বাড়ার সাথে সাথে যানজটের আকারও বাড়তে থাকে। সৃষ্টি হয় ৮-১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সেতুতে ওঠার মুখেই বসানো ওজন স্কেল (গাড়ির ওজন মাপার যন্ত্র)। এসব স্কেলে নির্ধারিত ওজনের বেশি ট্রাকগুলো থেকে জরিমানা আদায় করতে গিয়ে প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে সময়।
এছাড়া চালকদের একগুঁয়েমিও এই যানজটের কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওজন স্কেল এবং টোল আদায়ে ধীর গতির কারণে এ যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনই আমাদের রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে অনেক চালক গাড়ীর স্টিয়ারিংয়ে বসেই ঘুমিয়ে যায়।
পুলিশ হেটে হেটে চালকদের জাগিয়ে দিতে হয়। এতে পুলিশ দিনে এবং রাতে ডিউটি করতে গিয়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট কমাতে সরকার দুই লেনের সড়ক চার লেনে উন্নীত করে। কিন্তু টোল আদায়ের ধীরগতি উল্টো তীব্র করে তুলছে যানজট।
টোল প্লাজার দায়িত্বরত প্রকৌশলী মোঃ শামীম রহমান আবির বলেন, সার্ভার সমস্যাজনিত কারনে এ সমস্যা হচ্ছে। আর আমাদের আগে যারা কাজ করেছে, তাদের রেখে যাওয়া পুরনো যন্ত্র্রাংশ দিয়েই আমরা কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাসহ আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। আশা করছি সামনে রমজানের ঈদের আগেই বিষয়টি সমাধান করা হবে।
পিকে/এসপি
টোল আদায়ে ধীরগতি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোমতী সেতু এলাকায় যানজট
- আপলোড সময় : ২৩-০৩-২০২৩ ০৬:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন